সংগ্রহ এবং সম্পাদনাঃ হামিদুল ইসলাম আরফাত
বর্তমান সময়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবল মানেই ভিন্ন কিছুর স্বাদ। সারা বিশ্বের সেরা সেরা বাঘা খেলোয়াড়দের মিলন মেলা বলা যায়। টাকার খেলাও বলতে পারেন অনেকে৷ মেসি-রোনালদো-নেইমারদের মতো খেলোয়াড়েরা খেলে থাকেন এই ইউরোপীয়ান লীগে। ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লীগ, স্পেনের লা লীগা, ফ্রান্সের লীগ ওয়ান, ইতালির সেরি এ, জার্মানির বুন্দেস লীগ হলো ইউরোপীয় লীগ ফুটবলের প্রাণ। আজকে আমরা জানবো সেই ইউরোপের লীগ কাঁপানো ২২ জন মুসলিম ফুটবলারদের সম্পর্কে।
মুসলিম ফুটবলার এর তালিকায় সবার উপরে থাকবে –
১। মোহাম্মদ সালাহ (Mohamed Salah)ঃ সালাহ বর্তমান সময়ের সেরা কয়েকজন ফুটবলারের মধ্যে একজন। তিনি মিশরের জাতীয় দল এবং প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব লিভারপুলের ইউংগার ফরোয়ার্ড। লিভারপুলকে ১৮-১৯ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ এবং ১৯-২০ মৌসুমে ২৮ বছর পর প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন হতে দারুণ অবদান রাখেন। এবং মিশরকে ২০১৮ বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।
পল পগবা
২। পঁল পগবা (Paul Pogba): পগবা ফ্রান্স জাতীয় দল এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সেন্টার মিডফিল্ডার হিসাবে খেলে থাকেন। বর্তমান সময়ে মধ্যমাঠের সেরা খেলোয়াড় বিবেচনা করা হয় তাকে। ফ্রান্সকে ২০১৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মেসুত ওজিল
৩। মেসুত ওজিল (Mesut Özil)ঃ ওজিল সবসময়ের একজন আলোচিত খেলোয়াড়, খুব ধর্মপরায়ণ। জন্ম তুরস্কে হলেও বেড়ে ওঠেছেন জার্মানিতে। তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন৷ রোজা রেখে ফুটবল খেলে তখন তিনি দারুণ আলোচনায় আসেন। বর্তমানে তিনি প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব আর্সেনালের এটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন।
সাদিও মানে
৪। সাদিও মানে (Sadio Mané)ঃ আফ্রিকা মহাদেশের সেরা খেলোয়াড়দের একজন তিনি। খেলেন লিভারপুলের রাইট উইংগার ফরোয়ার্ড হিসাবে। সালাহ-মানে জুটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়ন লিগ এবং প্রিমিয়ার লীগ জিতিয়েছেন তিনি।
এদেন হ্যাজার্ড
৫। এদেন হ্যাজার্ড(Eden Hazard)ঃ তিনি কনভার্টেড মুসলিম; খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হয়েছেন। কিন্তু ব্যাপকভাবে সেটা প্রকাশ করেন না। ধর্ম পালন করেন নিরবে। তিনি বেলজিয়াম জাতীয় দল এবং লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে একই সাথে মিডফিল্ডার এবং ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলে থাকেন। বেলজিয়াম বর্তমানে র্যাংকিং এ শীর্ষে অবস্থান করা দল।
মুসলিম ফুটবলার এর মধ্যে আরও আছে
৬। করিম বেনজেমা (Karim Benzema)ঃ সেদিন জিদান বললেন, করিম বেনজেমা ফ্রান্সের যেকোন সময়ের সেরা স্ট্রাইকার। আসলেই তাই। এক খেলোয়াড়ের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে তিনি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান দলের মূল খেলোয়াড় তিনি। নিয়মিত গোল করছেন তিনি।
৭। পিয়ানিজ (Miralem Pjanic)ঃ তিনি বসনিয়ার সেরা খেলোয়াড়। দীর্ঘদিন জুভেন্টাসের মিডফিল্ড সামলিয়েছেন, জিতেছেন অনেক গুলা সেরি এ। বর্তমানে তিনি খেলে থাকেন বার্সেলোনার সেন্টার মিডফিল্ডার হিসাবে।
৮। শাকিরি (Xherdan Shaqiri)ঃ তিনি সুইজারল্যান্ড জাতীয় দল এবং লিভারপুলের মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। ১৪ বিশ্বকাপে দারুণ সব গোল করেছেন।
৯। ঝাকা (Granit Xhaka): তিনি সুইজারল্যান্ডের জাতীয় দলের অধিনায়ক। বর্তমানে খেলেন আর্সেনালের মিডফিল্ডার হিসেবে।
১০। রিয়াদ মাহরেজ (Riyad Mahrez): তিনি আলজেরিয়ার অধিনায়ক। খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির ইউংগার ফরোয়ার্ড হিসেবে। মাহরেজ একই সাথে ফ্রান্সের নাগরিকও।
১১। নাবি কেইতা (Naby Keïta): ২৫ বছর বয়সী কেইতা ঘানা জাতীয় দল এবং লিভারপুলের মিডফিল্ডার হিসেবে দারুণ খেলে থাকেন।
১২। এন’গুলু কান্তে( N’Golo Kanté, France): কান্তে ফ্রান্সের মূল মধ্যমাঠের ভরসার পাত্র। ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতার ক্ষেত্রে তার ছিল অসামান্য অবদান। ২৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় বর্তমানে প্রিমিয়ার লীগের দল চেলসিতে সেন্টার মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন।
১৩। নাভিল ফেকির(Nabil fekir): ফেকির বর্তমানে ফ্রান্সের জাতীয় দল এবং লা লিগার ক্লাব রিয়েল বেতিসের ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন।
১৪। উসমান দেম্বেলে (Ousmane Dembélé): বার্সেলোনা এবং ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড এবং লেফট মিডফিল্ডে খেলেন তিনি। খেলেন অসাধারণ। ২০১৮ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ফ্রান্সকে।
১৫। মুসা দেম্বেলে (Mousa Dembélé): তিনি বেলজিয়ামের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলেছেন। দলকে সেমিফাইনালে তুলেছেন। বর্তমানে তিনি খেলেন চীনের ক্লাব Guangzhou R&F এ।
১৬। মুসা সিশোকো (Moussa Sissoko): বলতে গেলে অলরাউন্ডার তিনি। সব জায়গায় খেলতে পারেন, কখনো বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার, কখনো রাইট ব্যাক, কখনো খেলেন এটাকিং মিডফিল্ডার হয়ে, কখনো বা রাইট মিডফিল্ড এ। তিনি ফ্রান্স জাতীয় দল এবং প্রিমিয়ার লীগের দল টটেনহাম হটস্পারে খেলে থাকেন।
১৭। হামজা চৌধুরী (Hamza Chowdhury): বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত তিনি। মা এবং সৎ বাবা সিলেটের। তিনি সিলেটি বাংলায় কথা বলতে পারেন। তিনি ইংল্যান্ডের অনুর্ধ তেইশে খেলেছেন, সামনে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলবেন। বর্তমানে নিয়মিত খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নজরকাড়া দল লেইজেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে।
১৮। সুখদ্রান মুস্তাফি (Shkodran Mustafi, Germany): তিনি জার্মানির সেন্টার ব্যাক হিসেবে ডিফেন্সে খেলেন। ১৪ সালের বিশ্বকাপ জিতেছেন। বর্তমানে খেলেন আর্সেনালে।
১৯। সামি খেদিরা (Sami Khedira): তিনি ২০১৪ সালে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, এক সময় খেলতেন রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবে। বর্তমানে জুভেন্টাসের মিডফিল্ডার হিসেবে দারুণ খেলে থাকেন তিনি।
২০। ইখায় গুন্দুগান (İlkay Gündoğan): তিনি জার্মান জাতীয় দল এবং ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। খেলেছেন ২০১৪ এবং ১৮ বিশ্বকাপ।
২১।এদিন জেকো (Edin Dzeko): তিনি বসনিয়া জাতীয় দল এবং সেরি এ ক্লাব রোমার অধিনায়ক এবং সেন্টার ফরোয়ার্ড। খেলেন দারুণ।
২২। মুহাম্মদ এলনেনি (Mohamed Elneny): তিনি মিশর জাতীয় দল এবং প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব আর্সেনালে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন।
২৩। কলিদো কৌলিবালি (Kalidou Koulibaly)ঃ তিনি সেনেগাল জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং সেরি এ ক্লাব নাপোলির সেন্টার ডিফেন্ডার। ডিফেন্ডার হিসেবে তিনি প্রথম সারির একজন খেলোয়াড়।
এছাড়াও অনেকে ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মুসলিম হিসেবে দাবি করেন। তার মা মুসলিম কিন্তু বাবা খ্রিষ্টান। সে হিসেবে তিনি খ্রিষ্ট ধর্ম পালন করেন বলেও শোনা যায়। মুসলিম ফুটবলার সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে মহেশখালী ট্রিবিউন এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।







[…] “Real Madrid qualifying for Semi-Final after playing Liverpool, Barcelona, and Liverpool again in the space of 7 days with a thin squad that’s suffered 53 injuries during the season. Now […]